ঈমান নষ্ট করার আমল

যখন দুজন ব্যাক্তির মাঝে সম্পর্ক হয় , তখন দুজনের দ্বারাই এমন অনেক কিছুই অনেম সময় হতে পারে যা আরেকজনের পক্ষে অপ্রিতিকর, কষ্টদায়ক , ও দুক্ষজনক।

এর কোনটা তার মনে ক্রোধের সৃষ্টি করে, আবার কোনটা তাকে আইন সঙ্গত প্রতিশোধ নিবার অধিকার দেয়

কিন্তু এমনি সময়য়েও ভালবাসাই বিজয়ী হয়

আর এটা ছিল রাসুল(সা) এর বিশেষ গুন

আল্লাহ বলেন

"নম্রতা ও ক্ষমাশীল এর নীতি অবলম্বন কর" সুরা আরাফঃ ১৯৯

আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন, তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুণ " সুরা ইমরান ঃ ১৫৯

কোন মানুষ যখন কষ্ট পায়

অথবা তার কোন ক্ষতি সাধন হয়, তখন ক্রোধই তার প্রথমে মন মগজ এ আচ্ছন্ন করে

আর ক্রধ যদি তার মন মগজকে অধিকার করতে পারে

তাহলে মাফ করা ত দুরের কথা, সে এমন সব অস্বাভাবিক করে বসে যে, ভবিষ্যতে সুস্থ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক এর আশা একেবারে দুরিভুত হয়ে যায়

তাই ভালবাসার নবি 

ক্রোধের অনিস্তকারিতা সম্পর্কে বার বার সতর্কবাণী করেছেন

নিশ্চয় ক্রোধ এমন ভাবে নষ্ট করে, বিসাক্ত ঔষধ মধুকে যেমন ভাবে নষ্ট করে দেয়" বায়হাকি শরিফ

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে ক্রোধের ঢোক গলধকরন করে, আল্লাহর দৃষ্টিতে

তার চাইতে কোন শ্রেষ্ঠ ঢোক বান্দাহ গলধকরন করে না

আহ্মদ--ইবনে উমর (রা)

কোন বান্দার উপর জুলুম করা  হলে সে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিরব থাকে তবে আল্লাহ তাকে বিরাত সাহায্য করেন" বায়হাকি সরিফ--আবু হুরায়রা (রা)

যে ব্যাক্তি ক্ষমা করে দিল এবং আপোষ রফা করল , তার ফল রয়েছে আল্লাহর কাছে, তিনি জালিমদের পছন্দ করেন না " সুরা আশ শুরা--৪০

ক্ষমা করা কোন সাধারন কাজ না , \এ বড় সাহসের কাজ ,

যে ব্যাক্তি সবর করল এবং ক্ষমা করে দিল এক বিরাত সাহসের কাজ করল " সুরা আশ শুরা-৪৩

আশা করি আমরা সাহসি হতে চেষ্টা করব,

পারস্পরিক সম্পর্ক -খুররম জাহ মুরাদ এর বই থেকে

আরও 

পড়তে চাইলে নিচে ক্লিক করুণ

জেনে নিন মুমিনের চরিত্র আল কুরআনের দৃষ্টিতে